বার্তা পরিবেশক:
উখিয়া রাজাপালং ইউনিয়নের ওয়ালাপালং মৌজার আদালতের বিচারাধীন নালিশী ভিটায় বাউন্ডারী ওয়ালের ভিতরে জোর প্রবেশ করে অবৈধভাবে ঘরনির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজেরা মামলা করেও বাদি আব্দু রহমান গং।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও মামলার বিবরনে জানা যায় গত ১০/১২/ ২০১৪ সালে ১৭৭১ নং দলিল মুলে দুবাই প্রবাসী ফরিদ আলম তার নিজ বোন ফাতেমা খাতুনের কাছ থেকে ৮ শতক ভিটে জমি ক্রয় করে চারিদিকে বাউন্ডারী দিয়ে ভোগ দখলে আছে। ফরিদ আলম দুবাই থাকার কারণে উক্ত জমিটিা ক্রয়কালিন তার স্ত্রীর নামে ক্রয় করে। পরবর্তীতে ফরিদ আলম দেশে আসলে তার স্ত্রী তার স্বামীকে হেবার মাধ্যমে জমির মুল ওয়ারিশের কাছে ফেরত দেয়। এলাকার জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে লোভের বশীভুত হয়ে তার আপন ভাই আব্দু রহমানের স্ত্রী রাশেদা বেগম স্বামীর পক্ষে একটি ভুয়া,অকার্যকর আমমোক্তার নামা সৃজন করে টাকার বিনিময়ে হকসফি পাওয়ার জন্য কক্সবাজার যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালতে হক সহি মামলা করে। যার নং মিচ ২/২০১৫।

সূত্র মতে, নালিশী জমির তপসিলঃ মৌজা ওয়ালা পালং। থানা উখিয়া। বিএস ১নং সিটের সৃজিত বিএস খতিয়ান নং২৯৪৬ বিএস দাগ নং ৪৮০। নালিশী জমির পরিমান ৮ শতক ভিটে।
নালিশী জমির চৌহদ্দিঃ দক্ষিনে গোপাট, পশ্চিমে গোপাট, উত্তরে বিবাদী ফরিদ আলমের বসতভিটে এবং পুর্বে নুরুল ইসলামের বসত ভিটে। একদিনে সচতুর বাদী হকসফি মামলার নোটিশ গোপন করে বিবাদীকে মামলার খবর জানতে না দিয়ে এক তরফা ডিগ্রী পাওয়ার পাঁয়তারা করে। অন্যদিকে ভাড়াটে লোক দিয়ে জোর করে প্রবাসী ফরিদ আলমকে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে মামলার খবর বিবাদী জানতে পেরে আদালতে উক্ত মামলার বিরুদ্ধে আপত্তি প্রদান করে। যা কোর্টে বিচারাধীন। ইতি মধ্যে মামলার বাদী আব্দু রহমান গং উক্ত নালিশী জায়গায় ইট বালিসহ বিভিন্ন নির্মান সামগ্রী মজুদ করে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছোট ছোট তিনটি বাচ্ছাদেরকে ভিটে ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে।
এই ব্যাপারে প্রবাসী ফরিদ আলমের স্ত্রী আদালতকে অবহিত করে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে। নিজের এবং বাচ্চাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উখিয়া থানা একটি সাধারণ ডায়রী করেন। যার নং-১৬০৫ তারিখ ৩১/০৩/২০১৮। পাশাপাশি রাজা পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে মৌখিক ভাবে অবহিত করে।
আদালত বিবাদী অসহায় ফরিদ আলমের স্ত্রীর আবেদনের পরিপেক্ষিতে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের জন্য একজন উকিল কমিশন নিয়োগ করে এবং আদালত কতৃক কমিশন যথারীতি তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট প্রদান করে। আদালত আগামী ১৫ই মে নিষেধাজ্ঞার শুনানী জন্য দিন ধার্য্য করে।

এ ব্যাপারে প্রবাসী ফরিদ আলমের স্কুল পড়ুয়া বড় ছেলে উখিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্র ফাহিম শাহরিয়া জুনাইদ দুঃখ করে বলেন, আমার বাবা বিদেশে আর আমার মা অসুস্থ এই সুযোগে মামলা বাদী আব্দু রহমান গং মামলার শুনানী তারিখে আগে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাহিত করতে আদালতের বিচারাধীন আমাদের ভিটে জমিতে জোর করে ঘর করার পাঁয়তারা করতেছে। আমরা ভয়ে স্কুলে যেতে পারি না যেকোন মহুর্তে একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আমার মা’সহ আমরা ছোট ছোট তিন ভাইবোন ভয়ে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। এলাকাবাসী তাদের নিরাপত্তা ও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশী জমিতে জোরদখল মুক্ত রাখার জন্য মাননীয় ওসি উখিয়া থানা, মাননীয় পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।